Thursday, October 20, 2016

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব ছেড়ে দেব না

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব ছেড়ে দেব না ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌর ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আমরা আর পাব না, আর পাব না - তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আর পাব না - ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আমরা আর পাব না না না আর পাব না তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব ছেড়ে দেব না তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব ছেড়ে দেব না ভুবণ মোহন গোরা , কোন মণিজনার মনহরা ভুবন মোহন গোরা , কোন মণিজনার মনহরা মণিজনার মনহরা ওরে - রাঁধার প্রেমে মাতোয়ারা চাঁদ গৌর আমার - রাঁধার প্রেমে মাতোয়ারা ধুলায় যায় ভাই গড়াগড়ি ! যেতে চাইলে যেতে দেব না না না না যেতে চাইলে যেতে দেব না না না যেতে দেব না ! তোমায় হৃদয় মাঝে তোমায় হৃদয় মাঝে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! যাব ব্রজের কুলে কুলে - যাব ব্রজের কুলে কুলে - আমরা মাখব পায়ে রাঙ্গা ধুলি মাখব পায়ে রাঙ্গা ধুলি ওরে পাগল মন - যাব ব্রজের কুলে কুলে - মাখব পায়ে রাঙ্গা ধুলি ওরে নয়নেতে নয়ন দিয়ে রাখিব তারে ওরে নয়নেতে নয়ন দিয়ে রাখিব তারে চলে গেলে চলে গেলে যেতে দেব না না না যেতে দেব না ! তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব, ছেড়ে দেব না ! তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! যে ডাকে চাঁদ গৌর বলে ওগো ভয়কি গো তার ব্রজের কুলে যে ডাকে চাঁদ গৌর বলে ভয়কি গো তার ব্রজের কুলে ভয়কি তার ব্রজের কুলে ওরে - দ্বিজ ভূষণ চাঁদে বলে ওরে - দ্বিজ ভূষণ চাঁদে বলে চরণ ছেড়ে দেব না না না ছেড়ে দেব না তোমায় বক্ষ মাঝে তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব , ছেড়ে দেব না ! ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌর, আর পাব না খেপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌর, আর পাব না না না আর পাব না তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব ছেড়ে দেব না তোমায় বক্ষ মাঝে রাখিব ছেড়ে দেব না তোমায় হৃদ মাঝারে

Monday, October 3, 2016

ও যার আপন খবর আপনার হয় না

ও যার আপন খবর আপনার হয় না
একবার আপনারে চিনতে পারলে রে।
যাবে অচেনারে চেনা, যাবে অচেনারে চেনা।।

ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায়
যেমন কেঁশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না।

আমি ঘুরে এলাম সারা জগৎরে।
তবু মনের গোল তো যায় না।।

ও সে অমৃত সাগরের সূধা।
সূধা খাইলে জিবের (জিহ্বা) ক্ষুধা তৃষ্ণা রয় না।

ফকির লালন মরল জল পিপাষায়রে।
আছে থাকতে নদী মেঘনা।।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।

আট কুঠুরী নয়
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।

কপালের ফের নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন খানে পালায়।

মন তুই রইলি খাঁচার আসে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।

বাড়ির কাছে আরশী নগর

বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,
বাঞ্ছা করি দেখব তারে
(আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।
কি বলব পড়শীর কথা,
হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে
ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর
(ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,
যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।

আমি অপার হয়ে বসে আছি

আমি অপার হয়ে বসে আছি
ও হে দয়াময়,
পারে লয়ে যাও আমায়।।
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটে-
(আমি) তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।
নাই আমার ভজন-সাধন
চিরদিন কুপথে গমন-
নাম শুনেছি পতিত-পাবন
তাইতে দিই দোহাই।।
অগতির না দিলে গতি
ঐ নামে রবে অখ্যাতি-
লালন কয়, অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়।।

মিলন হবে কত দিনে

মিলন হবে কত দিনে
আমার মনের মানুষের সনে।।
চাতক প্রায় অহর্নিশি
চেয়ে আছি কালো শশী
হব বলে চরণ-দাসী,
ও তা হয় না কপাল-গুণে।।
মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন
লুকালে না পাই অন্বেষণ,
কালারে হারায়ে তেমন
ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।
যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,
থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
(ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।